সংবাদচর্চা রিপোর্ট:
রূপগঞ্জ উপজেলার মাহমুদাবাদ এলাকার সালাউদ্দিনের ছেলে বহু মামলার আসামি সোলায়মান মিয়া (৩৭) ১ জুন মঙ্গলবার দুপুরে গণপিটুনিতে নিহত হয়েছে।
সোলায়মানের বিরুদ্ধে হত্যা, ডাকাতি, ছিনতাই, অস্ত্র, চাঁদাবাজি, নারী নির্যাতন সহ রূপগঞ্জ, সিদ্ধিরগঞ্জ, সোনারগাঁ ও আড়াইহাজার থানায় বহু মামলা রয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, মঙ্গলবার দুপুরে অস্ত্রে শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ১০/১২ জন যুবক তারাবো পৌরসভার গন্ধর্বপুর নামাপাড়া এলাকায় প্রবেশ করে। গ্রামবাসীর ধারণা ডাকাতি কিংবা সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের জন্য তারা নামাপাড়া এলাকায় আসে। তখন গ্রামবাসীরা গন্ধর্বপুর নামাপাড়া দারুলউলুম জামে মসজিদের মাইকে গ্রামে ডাকাত প্রবেশ করছে মর্মে ঘোষণা দেওয়া হয়। গ্রামবাসীরা বহিরাগত এ যুবকদের ধাওয়া করলে ফাঁকা গুলিবর্ষণ করতে করতে তারা পালিয়ে যেতে চেষ্টা করে। শিশু ও মহিলারা আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। তখন উত্তেজিত গ্রামবাসী যুবকদের ঘেরাও করে সোলায়মানকে ঝাপটে ধরে গণপিটুনি দেয়। একপর্যায়ে সোলায়মান মিয়াকে উদ্ধার করে প্রথমে কর্ণগোপ এলাকার ইউএস বাংলা হাসপাতালে ও পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক সোলায়মান মিয়াকে মৃত ঘোষণা করেন। অপর ১০/১১ জন যুবক পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। নিহত সোলায়মানের মাথায়, পিঠে, হাতে সহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখমের দাগ রয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ জেলা সহকারী পুলিশ সুপার আবির হোসান ও রূপগঞ্জ থানার ওসি এ এফ এম সায়েদ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
এ ব্যাপারে রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এ এফ এম সায়েদ বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এখনো মামলা হয়নি। কেউ অভিযোগ দিলে মামলা হবে।
পুলিশ সুত্রে জানা গেছে , নিহত সোলায়মানের বিরুদ্ধে হত্যা, নারী নির্যাতন, অস্ত্র, ডাকাতি, চাঁদাবাজি সহ বহু মামলা রয়েছে। এদিকে রূপগঞ্জ উপজেলা যুবলীগ সভাপতি কামরুল হাসান তুহিন সংবাদচর্চাকে বলেন, সোলাইমান যুবলীগের কেউ না। আমাদের যুবলীগের কোনো কমিটিতে তার নাম নেই।